৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপ আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য। দিন দিন আমাদের হাতে থাকায় এ স্মার্টফোনটি আরোহী স্মার্ট হচ্ছে। এখন আর ভিডিও এডিটিং করার জন্য উচ্চ কনফিগের পিসি লাগে না। আপনার হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে বিগিনার থেকে শুরু করে একদম প্রিমিয়াম কোয়ালিটি ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
আমার লিস্টে ৫ম স্থানে রেখেছি CyberLink এর PowerDirector নামক অ্যাপটিকে। নামের সাথে অ্যাপটির মিল রয়েছে, মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং এর জগতে এটি অত্যন্ত পাওয়ারফুল একটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। এটির মাধ্যমে ফুল এইচডি ও সর্বোচ্চ ৬০এফপিএস এ ভিডিও সেভ করতে পারবেন।
ফিচারগুলো: ইমেজ, ভিডিও, অ্যানিমেশন, ফুল এইচডি ইমপোর্ট, ১০৮০পি ভিডিও সেভ, মিউজিক, ভয়েস ওভার, ট্রানজিশন ইফেক্ট, টেক্সট, টেক্সট ইফেক্ট, গ্রিন স্ক্রিন ইফেক্ট ও অন্যান্য।
যারা ছবিতে বিভিন্ন ইফেক্ট দিয়ে সাথে মিউজিক লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ভিডিও বানাতে চাচ্ছেন তাহলে Vivacut ভিডিও অ্যাপটি আপনার জন্য। Vivacut এ রয়েছে খুবই সিম্পল ও পাওয়ারফুল টুলস যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার ভিডিওকে একদম অন্য লেভেলে নিয়ে যেতে পারবেন। পার্সোনালি Vivacut এর ট্রানজিশন ইফেক্টগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
ফিচারগুলো: ইমেজ, ভিডিও, অ্যানিমেশন, ফুল এইচডি ইমপোর্ট, ১০৮০পি ভিডিও সেভ, মিউজিক, ট্রানজিশন ইফেক্ট, টেক্সট, টেক্সট ইফেক্ট, সাউন্ড ইফেক্ট, ওভার লে, স্ট্রিকার ও অন্যান্য।
আমরা যেসব ভিডিও মূলত বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ ও টিকটিকে দেখতে পাই সেগুলো বেশির ভাগই Inshot এ করা। অনেকটা Vivacut এর মতো হলেও এতে আরো কিছু ইফেক্ট ও স্মুথ এডিটিং অভিজ্ঞতা InShot কে এগিয়ে রাখবে। এতে আপনি অনেক ধরনের টেক্সট ইফেক্ট ব্যবহার করতে পারবেন ও এতে বাংলা ফন্ট সেট করতে পারবেন। যেটার মাধ্যমে বাংলা গানের লিরিক্স ভিডিও খুব সহজেই বানাতে পারবেন।
ফিচারগুলো: ইমেজ, ভিডিও, অ্যানিমেশন, ফুল এইচডি ইমপোর্ট, ১০৮০পি ভিডিও সেভ, মিউজিক, ট্রানজিশন ইফেক্ট, টেক্সট, টেক্সট ইফেক্ট, সাউন্ড ইফেক্ট, ওভার লে, স্ট্রিকার, কাস্টম ফন্ট, ভয়েস ওভার, ভয়েস ইফেক্ট ও অন্যান্য।
এই Vita অ্যাপটি একদম ফ্রীতে ইনস্টল করে নিতে পারবেন গুগল প্লে স্টোর থেকে। এটি অত্যন্ত কার্যকর ও শক্তিশালী ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। এই অ্যাপের একটা বিষয় খুবই ভালো লেগেছে সেটি হলো এই অ্যাপের কিছু ডেমো ভিডিও সেট করা আছে। যেগুলোর মাধ্যমে কোনো প্রকার দক্ষ্তা ছাড়াই সহজে ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
ফিচারগুলো: ইমেজ, ভিডিও, অ্যানিমেশন, ফুল এইচডি ইমপোর্ট, ১০৮০পি ভিডিও সেভ, মিউজিক, ট্রানজিশন ইফেক্ট, টেক্সট, টেক্সট ইফেক্ট, সাউন্ড ইফেক্ট, ওভার লে, স্ট্রিকার, কাস্টম ফন্ট, ভয়েস ওভার, ভয়েস ইফেক্ট, মিউজিক সিঙ্ক, নো ওয়াটার মার্ক, ডেমো রেডি ও অন্যান্য।
এতক্ষণ যে ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলোর নাম বলছিলাম তারা তো শিশু Kinmaster এর তুলনায়। হাজার হাজার ব্যবহারকারীর রিভিও অনুযায়ী এটাকে সব সময় প্রথমে রাখতে হয়। পূর্ববর্তী অ্যাপগুলোর মাধ্যমে যেসব কাজ করা যায় তার সবই অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে করা যায় Kinemaster এর মাধ্যমে। যারা মোবাইলে ইউটিউবিং করতে চাচ্ছেন তারা Kinemaster অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন।
ফিচারগুলো: ইমেজ, ভিডিও, অ্যানিমেশন, ফুল এইচডি ইমপোর্ট, ১০৮০পি ভিডিও সেভ, মিউজিক, ট্রানজিশন ইফেক্ট, টেক্সট, টেক্সট ইফেক্ট, সাউন্ড ইফেক্ট, ওভার লে, স্ট্রিকার, কাস্টম ফন্ট, ভয়েস ওভার, ভয়েস ইফেক্ট, মিউজিক সিঙ্ক, স্টার্ট ইফেক্ট, আফটার ইফেক্ট, ওপেন ইফেক্ট, সাউন্ড এডিটিং, গ্রিন স্ক্রিন ও অন্যান্য।